গল্পের নাম: ছাদের নিচে, নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প - "ঝিঁঝিঁপোকার গান"
গভীর রাত, একাকী ছাদ, ঝিঁঝিরপোকার গানের সাক্ষী মাত্র, মিতা ও আকাশের নিষিদ্ধ প্রেমের উষ্ণ আলিঙ্গন, শরীরের কাঁপুন, নিঃশ্বাসের তাল মিশে গেলো এক অবিস্মরণীয় রাতে। জেনে নিন কিভাবে তরুণ প্রেমের আগুন জ্বলে উঠলো ছাদের নিচে, এক ঝড়ো রাতে!
 |
| Bengali Romantic Choti Golpo 9 - ছাদের নিচে, নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প |
Bengali Romantic Choti Golpo
Romantic Choti Golpo - ছাদের নিচে, নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প Part 1
বছরটা ছিল আমাদের ষোলো, চৈত্রের গরম সবে সবে জেঁকে বসেছে শিমুল গাছে। ঢাকার পুরনো বাড়ির ছাদে কাঠখড়ের চালার নিচে, ঝিঁঝিরপোকা ডাকাডাকি লাগিয়েছে রাতকে। আমি আর আকাশ, দু'জন দু'কোনায় গড়াগড়িয়ে হাসছিলাম, ছোট্টবেলার সেই অদ্ভুত ছেলেমানুষি খেলায়।
হঠাৎ আকাশের হাসি থমকে গেলো, চোখ দুটো গম্ভীর হয়ে গেলো। আমি মাথা তুলে তাকালাম, দেখি সে আমার দিকে একটানা চেয়ে আছে। একটা নতুন চাহনি, আগে কখনো দেখিনি এমন। আমার হৃৎপিণ্ডটা ঠকঠক করে উঠলো, পেটের কোটরে একটা অচেনা গরম ছড়িয়ে গেলো।
"মিতা," আকাশের গলাটা ছিল একটু থরথরে, "আমার একটা কথা আছে।"
আমি চুপ করে শুয়ে পড়লাম, একটু ঘাবড়ে গিয়ে। সে একটু কাছে এসে বসলো, আমার চুলগুলো একটা আঙুল দিয়ে ঠিক করে দিয়ে বললো, "মনে হয় আমি... তোকে অনেক ভালোবাসি।"
আমার মুখে একটা বোবা হাসি ফুটে উঠলো। মনের মধ্যে যেন একটা আতশবাজি ফেটে গেলো, ঝমঝম করে জ্বলে উঠলো সব। কিন্তু মুখে কোনো কথা বেরোলো না, শুধু চুপচাপ তার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
আকাশ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো, "আমি জানি, এটা হয়তো একটু তাড়াতাড়ি। কিন্তু তুমি সারাক্ষণ আমার মনের মধ্যে থাকো, তোমাকে ছাড়া আমি একটা মুহূর্তও ভাবতে পারি না।"
আমি একটা হাত বাড়িয়ে তার হাতটা ধরলাম, আলতো করে চাপলাম। আমিও তাকে ভালোবাসি, এই কথাটা মনে মনে কতবার বলেছিলাম, তার লেখা নেই। কিন্তু কখনো ভাবিনি যে সেও আমার মনের কথাটা বুঝতে পারবে।
আকাশ হাসলো, একটা সুখী ছেলের হাসি। তার হাতটা আমার হাতের মধ্যে গ্রাস করে বললো, "মিতা, তুমি আমাকে ভালোবাসো?"
আমি চুপ করে মাথা নাড়ালাম, মুখে কথা বলতে পারছিলাম না, শুধু তার হাতটা নিজের হাতের মধ্যে আরো শক্ত করে চেপে ধরেছিলাম। আমাদের চোখ দুটো একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইলো, চোখের ভাষা বলে দিলো যা মুখে বলার শব্দ ছিল না।
হঠাৎ, ছাদের ওপর থেকে মা'দের ডাক শোনা গেলো, "আকাশ! মিতা! কোথা তোরা? রাত হয়ে গেছে, ঘরে আয়!"
আমরা দু'জন একটু চমকে উঠলাম, আমাদের ঘোরটা ভাঙলো। দু'জনেই একসাথে হেসে উঠলাম, একটা আনন্দময়, ষোলো বছরের প্রথম প্রেমের হাসি।
সেদিন রাতে ঘুম এলো না আমার। আকাশের সেই তিনটে শব্দ, "আমি তোকে অনেক ভালোবাসি", আমার মনের মধ্যে ঘুরপাকড় খেতে লাগলো। ছাদের ঝিঁঝিরপোকা, চৈত্রের গরম হাওয়া, তার হাতের স্পর্শ, সবই যেন একটা অদ্ভুত মাদকতা ছড়িয়ে দিলো আমার শরীরে।
অল্প আলোয় আমি আকাশের দিকে চেয়ে আছিলাম। সেও ঘুমাতে পারছিল না, আমার দিকে চুপচাপ তাকিয়ে ছিল। আমাদের চোখে চোখ পড়তেই একটা অচেনা তাপ জেগে উঠলো, দু'জনেই একটু কাছে সরে এলাম।
আমি একটা দুষ্টু হাসি দিয়ে তার গালে একটা আলতো চুমু দিয়ে দিলাম। সেও একটা হাসি দিয়ে আমার কপালে চুমু খেলো। ছোট্টবেলার সেই খেলা, এখন কেমন যেন অন্য রূপ নিয়েছে।
আমার হাত আলতো করে তার চুলের মধ্যে গেলো, তার গলায় একটা ঝাপসা দিলাম। সেও আমার হাত ধরে, আঙুলগুলো আমার পিঠের উপর ঘুরিয়ে দিলো। আমার শরীরটা যেন শিহরে উঠলো, পেটের কোটরে একটা গরম ছড়িয়ে গেলো।
"আকাশ," আমি ফিসফিস করে বললাম, "আমি আর পারছি না।"
সে আমার কথা শেষ করতে না দিয়ে আমার ঠোঁটে ঠোঁট লাগালো। সেই প্রথম চুম্বন, আঁধার ছাদের নিচে, ঝিঁঝিরপোকার গানের সঙ্গে, যেন একটা অচেনা গন্ধ ছড়িয়ে দিলো আমাদের জীবনে।
Romantic Choti Golpo - ছাদের নিচে, নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প Part 2
আমরা দু'জনই অল্প বয়সী, অভিজ্ঞতাবিহীন। কিন্তু সেই রাতে, আমাদের অনুভব ছিল এক নতুন ভাষা, এক অচেনা মধুরতা। তার হাত আমার শরীরের উপর ঘুরতে থাকলো, আমিও তার পিঠে, চুলে আঙুল দিয়ে আনন্দ পেতে লাগলাম।
আমরা ছোটবেলার খেলা থেকে এখন এসেছিলাম একটা নিষিদ্ধ জগতে, যেখানে শুধু ছিল আমাদের দু'জনের আগুন লাগানো আকাঙ্ক্ষা। আমরা একে অপরের শরীরকে আবিষ্কার করতে লাগলাম, শ্বাসের গন্ধ, চামড়ার স্পর্শ, সবই যেন একটা অমৃতের স্বাদ।
আকাশের হাত আমার ব্লাউজের নীচে গেলো, আমি একটা ছোট্ট চিৎকার দিয়ে তার হাত ধরে ফেললাম। কিন্তু তার চোখের আগুনে আমার সব প্রতিরোধ ভেঙে গেলো। আমি নিজেই তার ব্লাউজ খুলে দিলাম, তার গরম শরীরের স্পর্শে আমার নিঃশ্বাস আটকে গেলো।
আমরা একে অপরের শরীরের উপর হাত চালিয়ে আনন্দ পেতে লাগলাম, নিষিদ্ধ ফলের মিষ্টি লোভে। আমাদের শ্বাসের তাল, শরীরের কম্পন, সবই মিলে তৈরি হলো একটা অপূর্ব সিম্ফনি।
সেই রাতে, ছাদের নিচে, ঝিঁঝিরপোকার গানের তালে, আমরা হারিয়ে গেলাম নিজেদের মধ্যে। আকাশের গরম হাত আমার বক্ষে ঘুরতে থাকল, আমি তার পিঠে, কোমরে আঁচড় খেয়ে আনন্দে কাতর হয়ে উঠলাম। তার ঠোঁট আমার গলায়, কানে, পেটে ঘুরে বেড়াতে লাগলো, আমার শরীরটা যেন আগুনে জ্বলে উঠলো।
"আকাশ," আমি ফিসফিস করে বললাম, "আমি... আর... পারছি... না..."
সে একটা দুষ্টু হাসি দিয়ে আমার লেগের উপরের পোশাক খুলে ফেললো। আমার নিঃশ্বাস আটকে গেলো, আমার সেই গোপন জায়গাটুকু এখন উন্মুক্ত, তার হাতের জন্য অপেক্ষায়। সেও যেন আমার চোখ পড়ে দেখলো, একটা অস্ফুট শব্দ করে আমার কোমল ঠোঁটে তার ঠোঁট লাগালো।
আমি চমকে উঠলাম, শরীরটা শিহরে উঠলো। তার জিহ্বা আমার গোপন অংশে ঘুরে বেড়াতে লাগলো, আমার নিঃশ্বাস গতি বাড়িয়ে দিলো। তার প্রতিটি স্পর্শে আমার শরীর থেকে যেন আগুনের ঝিলমিল ঝরে পড়ছিল।
"আকাশ... আর... বেশি... পারবো না..." আমি কাঁদতে কাঁদতে ফিসফিস করে বললাম, আমার শরীরটা দুর্বল হয়ে পড়ছিল।
সে একটু পিছু হটলো, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে। তার চোখেও ছিল একটা বন্য আগুন, আমার মতোই সেও নিজেকে সামলাতে পারছিল না।
"আমিও পারছি না, মিতা," সে কাচকচ করে বললো, "একবার... শুধু একবার..."
আমি মাথা নাড়লাম, আমার কথা বলার শক্তি ছিল না। কিন্তু আমার চোখে ছিল একটা অনুমতি, একটা আগ্রহ।
Romantic Choti Golpo - ছাদের নিচে, নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প Part 2
সে একটু আলতো করে আমার জামা খুলে ফেললো, আমার কোমল শরীরটা তার চোখের সামনে উন্মুক্ত হয়ে গেলো। আমি লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেললাম, কিন্তু তারপরই তার গরম হাত আমার পিঠে, কোমরে ঘুরতে লাগলো।
আমি কেঁদে ফেললাম, কিন্তু সে কান্নাটা ছিল আনন্দের, শিহরনের। তার হাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমার শরীরটাও কাঁপতে লাগলো, আমার নিঃশ্বাস গতি বাড়িয়ে দিলো।
আকাশ আমার গোপন জায়গাটুকুর কাছে পৌঁছে গেলো। তার ঠোঁট আমার কানে লেগেছে, "একবার, মিতা... শুধু একবার..."
আমি চুপ করে থাকলাম, আমার ভেতরে ছিল একটা অদ্ভুত মিশ্রণ, ভয়, উত্তেজনা, লজ্জা। কিন্তু তার ঠোঁটের স্পর্শে, হাতের আলতো আচড়ে আমার প্রতিরোধ ভেঙে গেলো।
আকাশের চোখে আমার নিজের প্রতিফলন দেখে আমার লজ্জা মিশে গেলো উত্তেজনায়। আমার নিঃশ্বাস গতি বাড়িয়ে দিলো, শরীরটা কাঁপতে লাগলো তার প্রতিটি স্পর্শে। তার জিহ্বা আমার নরম ত্বকে ঘুরে বেড়াতে লাগলো, আগুন জ্বালিয়ে দিলো আমার গভীরতম অংশে।
“আহ…” আমি আনমনে ফিসফিস করে উঠলাম, আমার পুরো শরীরটা যেন তার স্পর্শে জেগে উঠলো। সে ধীরে ধীরে, প্রলোভনে তার জিহ্বা আমার গোপন অংশে প্রवेश করলো। আমার শরীরটা উঁতরে গেলো, কাঁপতে লাগলো আনন্দে।
“আকাশ… আর… বেশি… পারবো… না…” আমার কাতর কণ্ঠস্বরে শব্দগুলো ছেঁটে গেলো, আমি নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না।
সে বুঝতে পেরেছিল, একটু পিছু হটে আমার চোখের দিকে তাকালো। চোখে চোখ মিলাতেই আমরা দু’জনই বুঝতে পারলাম, আর অপেক্ষা করা যাবে না।
“ঠিক আছে, মিতা,” সে কাচকচ করে ফিসফিস করে বললো, “একসাথে…”
আমরা ধীরে ধীরে একই অবস্থানে শুয়ে পড়লাম। একটু ঘাবড়ায়ে গেলেও আমার মনের গভীরে ছিল একটা তীব্র আগ্রহ। আমি নিজেকে তার উপরে তুলে দিলাম, আমাদের শরীর দুটো একে অপরের গরমের বিরুদ্ধে জুড়ে গেলো।
সে ধীরে ধীরে তার শক্ত কোমর আমার নিতম্বের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলো। আমার চোখ দুটো চমকে উঠলো, শরীরটা আঁকড়ে গেলো আনন্দে। তার প্রতিটি গতিবিধি, তার নিঃশ্বাসের গন্ধ, সবই মিলে তৈরি করলো এক আস্বাদহীন মাতালতা।
Romantic Choti Golpo - ছাদের নিচে, নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প Part 3
আমরা দু’জনই অভিজ্ঞতাবিহীন, কিন্তু শরীরের আদিম ইঙ্গিত আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেলো। আমরা একে অপরের শরীরকে আবিষ্কার করতে লাগলাম, মুখ, ঠোঁট, হাত, চুল, সবকিছুই হয়ে উঠলো আনন্দের অস্ত্র।
আকাশের শক্ত হাত আমার বক্ষকে মথন করতে লাগলো, আমিও তার পিঠে, চুলে নখ ছোঁড়ালাম। আমার নিঃশ্বাস তাল গড়ে উঠলো তার তালের সঙ্গে, আমাদের শরীর দুটো মিলে তৈরি হলো এক মাতাল ঘৃণ্ডা।
“আহ… আকাশ… আর… বেশি… পারবো… না…” আমার কণ্ঠস্বর ছেঁটে গেলো, আমার গভীরতম অংশে একটা আগুন জ্বলে উঠলো।
সে আমার কথা ধরো না, আরো গভীর ঢুকলো। আমার চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গেলো, শরীরটা উঁচু হয়ে গেলো আনন্দে। “আকাশ… এখন… এখন…” আমার নিঃশ্বাস হাঁপিয়ে উঠলো, শরীরটা শিহরিত হয়ে গেলো।
এক মুহূর্ত, এক চমক। তারপর এক প্রলয়। আকাশ আমার গভীরতমে পৌঁছে গেলো, আমার শরীরটা যেন বিস্ফোরিত হলো আগুনে। আমার কানে গেলো তার কাচকচ শব্দ, "আমিও, মিতা... এখন..."
আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলো, চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গেলো। শরীরটা শিহরিত হয়ে উঠলো, আমার গভীর থেকে উঠলো এক দীর্ঘ, আনন্দময় চিৎকার। তার গতিও বেড়ে গেলো, আমাদের দু'জনের শরীর দুটো মিলে তৈরি হলো এক মাদকতা, এক ঝড়।
আমরা একে অপরের শরীরে আঁকড়ে ধরলাম, অকস্মাৎ শব্দগুলো বেরিয়ে এলো আমাদের ঠোঁট থেকে। আকাশ, মিঠা, আহ, এসো, আরো, আরো। শব্দগুলো ছিল অস্ফুট, কিন্তু তাতেও বুঝতে পারা যেত, আমরা দু'জনই হারিয়ে গেছিলাম নিজেদের মধ্যে।
আমার হাত তার পিঠে, চুলে আঁকড়ে ধরলো, আমি নিজেকে তার উপর আরো শক্ত করে চাপ দিলাম। তার শক্ত কোমর আমার ভেতরে যেন চক্র ঘুরিয়ে দিচ্ছে, আমার শরীরটা যেন ধরা নাগালের উচ্ছ্বাসে উড়ছে।
একবার, দুইবার, তিনবার। তারপর আমরা দু'জনই একসাথে পৌঁছে গেলাম সেই চূড়ায়। শরীরটা শিহরিত হয়ে উঠলো, আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলো কয়েক সেকেন্ডের জন্য। আমার মনে হলো, আমি যেন আকাশের গভীরতম অংশে মিশে গিয়েছি, আমরা দু'জনই এক হয়ে গেছি।
আমরা ধীরে ধীরে নিঃশব্দ হয়ে গেলাম, শুধু ছিল আমাদের শরীরের গরম, আমাদের শ্বাসের তাল। আকাশ আমার উপর শুয়ে পড়লো, তার গরম শরীর আমাকে আগলে রেখেছে। আমরা দু'জনই চুপ, কিন্তু চোখে চোখ মিলাতেই আমাদের মনের কথা বলে দিলো।
এই ছিল আমাদের প্রথম, ছাদের নিচে, ঝিঁঝিরপোকার গানের সঙ্গে, এক নিষিদ্ধ রাতে।
Romantic Choti Golpo - ছাদের নিচে, নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প Part 4
আরো কিছুক্ষণ আমরা চুপ করে শুয়ে থাকলাম, তারপর আকাশ আলতো করে আমার কপালে চুমু খেলো। আমি চুপ করে হাসলাম, আমার মন ছিল আনন্দে ভাসছে।
"মিতা," সে আমার চুল গুছিয়ে দিয়ে বললো, "আমি তোমাকে ভালোবাসি।"
আমি তার চোখের দিকে তাকালাম, আমার মুখেও ফুটে উঠলো একটা হাসি। সেই তিনটে শব্দ, সেই রাতের গন্ধ, সব কিছুই আমার মনে চিরদিন লেগে থাকবে।
"আমিও তোমাকে ভালোবাসি, আকাশ," আমি ফিসফিস করে বললাম, আমার হাত তার পিঠে ঘুরিয়ে দিলাম। কিন্তু সে সরে গেলো, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে।
"একবার… শুধু একবার… আরো একটা বার," সে কাচকচ করে বললো, তার গলাটা একটু শুকিয়ে গেছে। আমারও ঠোঁট শুকিয়ে গেলো, আমার গভীরতম অংশটা এখনো তার স্পর্শে কাঁপছে।
"ঠিক আছে," আমি আমার লজ্জা কেটে ফেললাম, আমারও খুব ইচ্ছা হচ্ছে। আমরা ধীরে ধীরে একই অবস্থানে শুয়ে পড়লাম, আগের মতোই।
এবার তার গতি একটু বেশি ছিল, আমার শরীরটাও প্রথমবারের চেয়ে বেশি সাড়া দিচ্ছে। তার জিহ্বা আমার গভীরতম অংশে নেচে বেড়াচ্ছে, আমার নিঃশ্বাস আবারো হাঁপিয়ে উঠলো। আমার হাত তার পিঠে, কোমরে আঁচড় খেতে লাগলাম, আমার শরীরটা যেন তার তালের সঙ্গে নাচছে।
"আহ…" আমি আনন্দে কেঁদে ফেললাম, আমার পুরো শরীরটা যেন জ্বলছে তার স্পর্শে। আমার গভীর থেকে উঠলো আরো একবার সেই দীর্ঘ চিৎকার, আমার আনন্দ যেন আকাশের কান পর্যন্ত পৌঁছে গেলো।
সেও আর ঢিপু দেয় না, আমার গভীরতমে পৌঁছে গেলো। এবার দু'জনই মাতাল হয়ে ছিলাম, শরীর দুটো মিলে তৈরি করেছিল এক ঝড়, এক আস্বাদহীন মাতালতা। আমরা একে অপরের শরীরে নখ কেটে ধরলাম, কখনো ঘাড়ে, কখনো কোমরে, কখনো বুকে।
"মিতা… আরো… আরো…" সে আমার কানে গরম নিঃশ্বাস ছাড়লো, আমার শরীরটা আরো শিহরিত হয়ে উঠলো। আমি নিজেকে আর সামলাতে পারছিলাম না, শুধু তার গতির সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে দিলাম।
দ্বিতীয়বারটা আর আগের মতো দীর্ঘ হয় না, কিন্তু তীব্রতা ছিল আরো বেশি। আমরা আবারো একসাথে পৌঁছে গেলাম সেই শিখরে, শরীর দুটো অস্ফুট শব্দে কেঁপে উঠলো। আমাদের ঘাম, নিঃশ্বাস, আর ক্ষীণ চাঁদের আলো মিলে তৈরি হলো এক অদ্ভুত নেশা।
আরা একটু আলাদা হয়ে শুয়ে পড়লাম, আমার মাথা তার বুকে, সে আলতো করে আমার চুল গুছিয়ে দিচ্ছে। আমরা দু'জনই চুপ, কিন্তু আমাদের মনে, আমাদের শরীরে ছিল এক অচেনা গভীরতা, এক নতুন বন্ধন।
Romantic Choti Golpo - ছাদের নিচে, নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প Part 5
সকালের আলো আমাদের ঘুম ভাঙালো, ঘরের দরজা থেকে মা'র ডাক শোনা গেলো। আকাশ আলতো করে আমার ঠোঁটে চুমু খেয়ে উঠে বসলো। আমি চুপ করে শুয়ে রইলাম, তার হাত আমার পিঠে চাপ দিয়ে।
"রাতে ফের দেখা হবে?" সে ফিসফিস করে বললো, তার গলাটা একটু আঁটসাঁট।
আমি মাথা নাড়ালাম, আমার মুখে একটা হাসি ফুটে উঠলো। "কিন্তু সাবধান, মা এখনই সন্দেহ করবে যদি দেরি করি।"
সে হাসলো, একটা দুষ্টু হাসি। "চিন্তা করো না, এক মিনিটের বেশি লাগবে না।"
আমরা দু'জনই উঠে বসলাম, পোশাক গুছিয়ে নেওয়া। আমরা যখন সিঁড়ি দিয়ে নামছিলাম, আকাশ হঠাৎ থামলো।
"মিঠা," সে আমার চোখের দিকে তাকালো, তার চোখে একটা উত্তেজনা ছিল। "আমি চাই, শুধু তোমার গলায় আমার নাম শুনতে।"
আমি চুপ করে, কিন্তু আমার মুখে একটা লালচে ভাব ফুটে উঠলো। আমি জানতাম, সে আমার কী চায়।
আমরা আবারো ছাদে উঠলাম, কিন্তু এবার আমরা একটা গোপন কোণে গেলাম, যেখান থেকে কেউ দেখতে পাবেনা। আকাশ আমাকে তার কোলে টেনে নিল, আমার পিঠে তার হাত ঘুরতে লাগলো।
"শুধু একবার, মিতা," সে আমার কানের কাছে কাচকচ করে বললো, "আমি তোমার গলায় আমার নাম শুনতে চাই।"
আমি চুপ করে থাকলাম, আমার শরীরটা তার গরম স্পর্শে কাঁপতে লাগলো। তার ঠোঁট আমার গলায় ঘুরে বেড়াতে লাগলো, আমার নিঃশ্বাস গতি বাড়িয়ে দিলো।
"আকাশ…" আমার গলা থেকে অস্ফুট শব্দ বেরিয়ে এলো, আমার গোপন জায়গাটাও তার হাতের কাছে উন্মুক্ত হয়ে গেলো।
সে একটু পিছু হটে আমার চোখের দিকে তাকালো, তার চোখে ছিল একটা বন্য আগুন। আমিও তার চোখে চোখ রেখে দিলাম, আমার মনে ছিল শুধু একটা আকাঙ্ক্ষা, তাকে আমার ভেতরে পেতে।
"আরো," সে কাচকচ করে বললো, "আরো জোরে, মিতা।"
আমি চোখ বন্ধ করে নিলাম, আমার গলা থেকে একটা কাঁপা কণ্ঠে বেরিয়ে এলো, "আকাশ…"
এক মুহূর্ত, এক চমক। তার জিহ্বা আমার গভীরতমে পৌঁছে গেলো, আমার শরীরটা যেন বিস্ফোরিত হলো আগুনে। আমার কানে গেলো তার কাচকচ শব্দ, "আমিও, মিতা… এখন…"
আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলো, চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গেলো। শরীরটা শিহরিত হয়ে উঠলো, আমার গভীর থেকে উঠলো এক দীর্ঘ, আনন্দময় চিৎকার। তার গতিও বেড়ে গেলো, আমার শরীরটা তার তালের সঙ্গে মিলে নাচতে লাগলো। আমি নিজেকে তার উপর আরো শক্ত করে চাপ দিলাম, আমার হাত তার চুলে, পিঠে আঁচড় খেতে লাগলাম।
"আহ… আকাশ… আরো… আরো…" আমার কণ্ঠস্বর ছেঁটে গেলো, আমার গভীরতম অংশে একটা আগুন জ্বলে উঠলো। সে আমার কথা ধরো না, আরো গভীর ঢুকলো। আমার চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গেলো, শরীরটা উঁচু হয়ে গেলো আনন্দে। "আকাশ… এখন… এখন…" আমার নিঃশ্বাস হাঁপিয়ে উঠলো, শরীরটা শিহরিত হয়ে গেলো।
এক মুহূর্ত, এক চমক। আমরা দু'জনই একসাথে পৌঁছে গেলাম সেই চূড়ায়। শরীরটা শিহরিত হয়ে উঠলো, আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলো কয়েক সেকেন্ডের জন্য। আমার মনে হলো, আমি যেন আকাশের গভীরতম অংশে মিশে গিয়েছি, আমরা দু'জনই এক হয়ে গেছি।
আমরা ধীরে ধীরে নিঃশব্দ হয়ে গেলাম, শুধু ছিল আমাদের শরীরের গরম, আমাদের শ্বাসের তাল। আকাশ আমার উপর শুয়ে পড়লো, তার গরম শরীর আমাকে আগলে রেখেছে। আমরা দু'জনই চুপ, কিন্তু চোখে চোখ মিলাতেই আমাদের মনের কথা বলে দিলো।
এই ছিল আমাদের দ্বিতীয়, ছাদের নিচে, ঝিঁঝিরপোকার গানের সঙ্গে, এক নিষিদ্ধ রাতে। এইবার আমরা দু'জনই অভিজ্ঞতার এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিলাম, আরো বেশি নিঃসংকোচ, আরো বেশি উত্তেজিত।
Romantic Choti Golpo - ছাদের নিচে, নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প Part 6
আমরা আবিষ্কার করেছিলাম এক নতুন গভীরতা, এক উন্মাদ নেশা, যেটা ছিল শুধু আমাদের দু'জনের।
আরো কিছুক্ষণ আমরা চুপ করে শুয়ে থাকলাম, তারপর আকাশ আলতো করে আমার কপালে চুমু খেলো। আমি চুপ করে হাসলাম, আমার মন ছিল আনন্দে ভাসছে।
"মিতা," সে আমার চুল গুছিয়ে দিয়ে বললো, "আমি তোমাকে ভালোবাসি।"
আমি তার চোখের দিকে তাকালাম, আমার মুখেও ফুটে উঠলো একটা হাসি। সেই তিনটে শব্দ, সেই রাতের গন্ধ, সব কিছুই আমার মনে চিরদিন লেগে থাকবে।
"আমিও তোমাকে ভালোবাসি, আকাশ," আমি ফিসফিস করে বললাম।
আমরা আবারো জড়িয়ে ধরলাম, এবার একটু বেশি সময়ের জন্য। আমাদের শরীর ছিল গরম, আমাদের শ্বাস ছিল মেশানো, আমাদের মন ছিল এক। আমরা জানতাম, এই রাতের কথা কেউ জানবে না, এটা ছিল শুধু আমাদের, আমাদের গোপন প্রেমের এক অমৃত স্মৃতি।
সেই রাতের পর, আমাদের প্রেমের গতি আরো বেড়ে গেলো। আমরা ছুটির দিনে, গোপন কোণে, আমাদের চুম্বনের স্বাদ মুখে, আমাদের শরীরের গরম স্মৃতি মনে, আমরা চুরাই করে নিয়েছিলাম প্রেমের মধু। ছুটির দিনগুলো হয়ে উঠেছিল উত্তেজনার ঘোল, আমাদের প্রতিটি স্পর্শে, প্রতিটি চুম্বনে ছিল এক নিষিদ্ধ নেশা।
একদিন, আমরা নদীর তীরে গিয়েছিলাম। গভীর জলের শব্দ, নরম বালির স্পর্শ, সবকিছুই মিলে তৈরি হয়েছিল এক মাদকতা। আমরা জলের ধারে বসেছিলাম, আমার মাথা তার কোলে, তার হাত আলতো করে আমার চুলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
"মিতা," সে আমার চোখের দিকে তাকালো, তার চোখে ছিল একটা গভীরতা। "আমি তোমার সঙ্গে থাকতে চাই।"
আমি চুপ করে থাকলাম, তার কথাগুলো আমার মনের মধ্যে ঢেউ তুলে দিলো। আমিও জানতাম, আমিও তার সঙ্গে থাকতে চাই। কিন্তু আমাদের পরিবার, সমাজ, সবকিছুই ছিল এই প্রেমের বিরুদ্ধে।
"কিন্তু, আকাশ," আমি ফিসফিস করে বললাম, "এটা তো সম্ভব নয়। আমাদের পরিবার, সমাজ..."
সে আমার কথা কেটে দিলো, তার হাত আমার মুখে চাপ দিয়ে। "একদিন হবে, মিতা," সে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, "আমি একদিন তোমাকে সবাইকে দেখাবো, আমাদের প্রেমের কথা সবাইকে বলবো।"
আমি তার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম, তার চোখে ছিল একটা দৃঢ়তা, একটা অবিচল বিশ্বাস। আমি জানতাম, সে যা বলছে, সেটা সত্য। সে একদিন আমাদের প্রেমের জন্য লড়বে, আমাদের প্রেমের জন্য সবাইকে মুখ বন্ধ করে দেবে।
আমরা আর কথা বললাম না, শুধু চুপ করে নদীর দিকে তাকিয়ে রইলাম। সূর্য ডুবে গেলো, ছেয়ে গেলো আকাশের রঙ। কিন্তু আমাদের মনের আকাশে উঠেছিল একটা নতুন সূর্য, একটা প্রতিশ্রুতির আলো।
আমরা জানতাম, আমাদের পথে আছে অনেক বাঁধা, অনেক ঝড়। কিন্তু আমরা দু'জন একসাথে, আমাদের প্রেমের হাত ধরে, আমরা পারবো সব ঝড় কাটাতে। আমাদের প্রেমের গল্প এই শেষ নয়, এটা শুরু হয়েছে, চলবে চিরকাল, চিরদিনের মতো।
