গল্পের নাম: বজ্রপাতের রাতে তুমি
ঝড়-বজ্রপাতের রাতে গোপন কামনা আর নিষিদ্ধ ভালোবাসার ঝলক। রাতে তিথি আর সুমিতের গল্পে গরম শরীরের স্পর্শ, উত্তেজনাপূর্ণ চুম্বন আর নিঃশব্দ কাঁপন। পড়ে ফেলুন এই রোমান্টিক choti golpo, আর হারিয়ে যান আবেগের ঝড়ে!
![]() |
Romantic Choti Golpo Part 6 |
বৃষ্টি ঝিঁঝি পড়ছিল, ছাদের টিনের চালে টুপটুপ করে ঝড়ের গতি বাড়িয়ে দিচ্ছিল। ঘরে অজস্র অন্ধকার, শুধু বজ্রপাতের আলো ঝমক ঝমক করে জানলার কাচে লেগে জীবন্ত হয়ে উঠছিল। তিথি একা কুঁজো হয়ে শুয়েছিল, চাদর টেনে নিয়ে, ভয় আর উত্তেজনার এক অদ্ভুত মিশ্রণে কাহিল হয়ে। হঠাৎ একটা জোরালো বজ্রপাত! লাইট চলে গেল। এক চিৎকার বেঁকে চলে গেল তার গলা দিয়ে, অন্ধকারে হাত তুলে ঠামোটাম খুঁজছিল।
ঠিক তখনই এক উষ্ণ আলো পড়ল তার শরীরে। এক মুহূর্তের জন্য অন্ধকার থেকে আলোয় আসার ধাক্কা লাগলো। চোখ ঠিক হতেই দেখলো সুমিতকে, ভেজা চুলে জল ঝরছে, চোখে একটা অদ্ভুত ঔজ্বল্য। হাতে মোবাইলের লাইট, তার দিকে এগিয়ে আসছে।
তিথি গিজগিজে তার দিকে তাকালো, "তুমি এখানে কী করছো? এই বৃষ্টিতে?"
সুমিত হাসল, একটু অভিমান মিশ্রিত, "তোমার একা ভয় লাগে, সেটা জানিই। তাই এসেছি।"
সে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলো। বাইরে ঝড় আরও জোরালো হয়ে উঠলো, জানলা কাঁপতে লাগলো। তিথি ভয় পেয়ে আরো কাছে সরে এলো সুমিতের। তার গরম শরীরের গন্ধ এসে লাগলো তার নাকে, হৃদস্পন্দ তালে তালে লাগলো।
সুমিত তার কোমর জড়িয়ে ধরে কাছে টানলো, তার ভেজা টি-শার্টের মধ্য দিয়ে ত্বকের উষ্ণতা অনুভব করলো তিথি। তার নিঃশ্বাস গরম বাতাসের ঝাপটা দেওয়ার মতো তার গলায় লাগলো।
"ভয় লাগছে না তো?" সুমিতের কন্ঠস্বর ছিল গভীর, নিঃশ্বাসের সাথে কাপছিল তার বুক।
তিথি মাথা নাড়লো, কিন্তু চোখ দিয়ে কি বললো, সেটা শুধু সুমিতই বুঝলো। সে আলতোভাবে তার চিবুক উঠিয়ে তার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দিল।
আচমকা আলো চলে গেল। অন্ধকার এক হয়ে গেল তাদের শরীরের সাথে। ঠোঁটের মিলনে বৈদ্যুতিক আবেশ লাগলো, স্পর্শে উঠলো শিহরণ। ধীরে ধীরে সেই চুম্বন গভীর হয়ে উঠলো, দুটো ঠোঁটের যুদ্ধ, জিহ্বার খেলা, নিঃশ্বাসের মিশ্রণ।
সুমিত তার হাত তার শাড়ির পল্লবে নিয়ে ধীরে ধীরে খুলে দিল। ঠান্ডা হাওয়া লাগলো তিথির তপ্ত ত্বকে। সে একটা কাঁপনে দিল তিথি, কিন্তু সেই কাঁপনে ছিল উত্তেজনার, আকাঙ্ক্ষার। সুমিত আলতোভাবে তার ব্লাউজের হুক খুলে ফেলল। ঠান্ডা চাবির স্পর্শে নিঃশ্বাস রুদ্ধ হয়ে গেল তিথির। বজ্রপাতের আলো ঝলকিয়ে দেখালো তার বক্ষের উচ্চার গতি, দুধের ফোঁটা কাঁপছে অস্থিরতায়।
সুমিত তার ঠোঁট তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে নামালো তার বুকে, ঘন সবুজ ঘাসের মাঠে হাওয়ার মতো আলতো ছোঁয়া দিয়ে কামার তীর ছুঁড়ে দিল তার শরীরে। তিথি চোখ বন্ধ করে মাথা পেছনে নেড়ে দিল, শরীর ঝিরঝির করে উঠলো। সুমিতের জিহ্বা তার বক্ষের শিরাময় কাপড়ের উপর নকশা আঁকতে লাগলো, ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে উষ্ণ করছে তাকে।
সেই গরম, আর্দ্র রাতে বজ্রপাত আর ঝড়ের গতিপথ মিলে গেল তাদের চুম্বনে, স্পর্শে। সুমিত তার শাড়ি খুলে ফেললো, সিল্কের নরম স্পর্শে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে গেল তিথির শরীরে। সে তার কোমরে হাত দিয়ে ঠেলে দিল তাকে বিছানায়। গরম চাদর লাগলো তাদের তপ্ত ত্বকে, শরীর মিশে গেল এক।
চুম্বন আর স্পর্শের ঝড়ে হাঁপিয়ে উঠলো তিথি। নিজের শাড়ির বাকি অংশও খুলে ফেললো সে, উন্মুক্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করলো এই নিষিদ্ধ রাতের কাছে। সুমিত তার শরীরের গভীরতা অনুসরণ করলো তার হাত দিয়ে, জেনে নিল তার প্রতিটি বক্রতা, প্রতিটি কাম্পন।
ধীরে ধীরে, আকুল আবেশে তাদের হাত তাদের গোপন স্থানে পৌঁছলো। শরীরের ভাষায় কথোপকথন শুরু হল, নিঃশ্বাসের তালে, নখের আঁচড়ে। জগৎ হয়ে গেল শুধু তাদের শরীরের সংগীত, বাইরের ঝড় যেন অন্য কোন গ্রহের ঘটনা।
তিথির গলা দিয়ে একটা নিঃশব্দ চিৎকার বেরিয়ে এলো যখন সুমিত তাকে তার চরম সীমায় পৌঁছে দিল। তার শরীর দুর্বল হয়ে গেল, শুধু সুমিতের শক্ত কোলে ধরে থাকতে পেরেছিল। সেও এক নিঃশব্দ কেঁপন দিয়ে তার সাথে একাকার হয়ে গেল সেই অবিস্মরণীয় মিলনে।
ঝড় কখন থামলো তা তারা বুঝতে পারলো না। কিন্তু যখন আলো ফিরে এলো, দেখলো সকাল হয়ে গেছে। বৃষ্টি থেমেছে, জানলা দিয়ে ঢুকেছে হালকা সকালের আলো তাদের ঘুমন্ত চোখে লাগলো। তিথি চোখ খুলেই একটু উঁপোর গেল, গত রাতের স্মৃতি ঝাঁপিয়ে পড়ল তার মনে। সে সুমিতের দিকে তাকালো, সেও ঘুমোচ্ছে। তার বুকের উপর শুয়েছিল তিথি, এক হাত তার কোমরে জড়িয়ে, অন্য হাত তার বুকে।
সুমিত চোখ খুলে তিথির দিকে তাকালো, একটা অভিমানী হাসি তার ঠোঁটে। "ভয় লাগেনি তো?"
তিথি লজ্জায় লাল হয়ে গেল, একটা ছোট্ট চুম্বন দিল তার বুকে। "লাগে না, তুমি থাকলে।"
সুমিত হাসল, তার চুল গুছিয়ে দিল। "তাহলে আর ঝড় আসুক, বজ্রপাত হোক, আমরা থাকবো একসাথে।"
সে উঠে বসল, টি-শার্ট পরলো। তিথিও উঠতে গেল, কিন্তু তার পা একটু দুর্বল হয়ে গেল। সুমিত সেটা লক্ষ্য করে হাসল, তাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিল।
"আর একটু ঘুমো," সে বললো, তার চুল ঠিক করে দিয়ে। "আজকের দিনটা শুধু আমাদের।"
তিথি তার বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করলো। হ্যাঁ, আজকের দিনটা শুধু তাদের, রাতের অভিজ্ঞতা আর সকালের আলোয় মেশানো এক মধুর তন্দ্রা তাকে গ্রাস করে নিল।
দুপুরের দিকে তারা ঘুম থেকে উঠলো। রুম সার্ক ডান, জানলা খুলে দিলে ঠান্ডা হাওয়া ঢুকে পড়ল। সুমিত তাদের জন্য কফি বানিয়ে আনলো, দুধের মধ্যে হার্টের আকার আঁকা ছিল।
"তোমার জন্য," সে বললো, তিথির চোখে তাকিয়ে।
তিথি হাসল, তার হাতে কফি নিয়ে এক চুম্বন দিল তার ঠোঁটে। "আর?"
সুমিত তার কানে ফিসফিস করে কি যেন বললো, তার চোখ জ্বলজ্বল করে উঠলো। সে দুষ্টু হাসল, "এটা শুধু শুরু, তিথি। আরো অনেক রাত আছে, আরো অনেক ঝড়।"
তিথিও হাসল, একটা শিহরণ দিল তার শরীরে। হ্যাঁ, আরো অনেক রাত আছে, আরো অনেক ঝড়। আর তারা সেই ঝড়ে একসাথে নাচতে প্রস্তু, তাদের গোপন কামনার আগুনে পুড়তে, এক অবিস্মরণীয় প্রেমের গল্পতে।