অন্তরের গভীরতায় প্রেমের প্রতিধ্বনি - Bangla Choti Golpo

Soumya
0

 কলেজের প্রথম চোখের লোড—লাইব্রেরি কার্ড বদলানোর সময় থেকে শুরু করে চাকরি,ধারণা ও পরিবারিক প্রত্যাশার মধ্য পেরিয়ে, রাইসা ও আহমেদের গভীর অন্তরঙ্গ সম্পর্কের গল্প; যেখানে ভালোবাসা শুধু আবেগ নয়, সঞ্চয়, প্রত্যয় এবং যৌথ অর্জনের আলোয় শুরু হয়।

“অন্তরের গভীরতায় প্রেমের প্রতিধ্বনি” – এক Bangla Choti Golpo যেখানে রাইসা ও আহমেদের আবেগময় সম্পর্ক গড়ে ওঠে কলেজ লাইব্রেরি থেকে নারীর পরিচিতিযোগ্য জীবন অর্জনের মাধ্যমে।

গল্পের নাম: “অন্তরের গভীরতায় প্রেমের প্রতিধ্বনি”

রাত্রি নামতেই ঢাকার ছোট এক ফ্ল্যাটে সঙ্গিনীর সৌরভময় নিশ্বাস বিন্দু নিরিবিলি আলোয় ফুটে ওঠে। জানলা ছাড়া দেওয়া ওড়নির ঠিক পাশেই বসে আছে রাইসা, তার চোখে আবেগের অদৃশ্য ঝড়—মাঝে মাঝে থেমে যাওয়া, আবার ধূসর আঁধারের ভিতর ফেলছে হৃদয়ের শব্দ।

রাইসা–আহমেদ, দুজনের পরিচয় বরাবরই ছিল অদ্ভুত। এক কলেজ লাইব্রেরির পড়ার মিনিটে হাত লাইব্রেরি কার্ড বদলানোর সময় প্রথম দেখার শ্যাশ্বত প্রেমের প্রতি নির্দেশ দিল। আহমেদ, সহযোগী ঘর থেকে হেঁটে লাইব্রেরি আসছিল নিজের বই ফেরত দিতে, আর রাইসা অন্তর্বাসে মুঠোবন্দী পেন্সিল আর ডায়েরি নিয়ে প্রথম দিন এসেছিল ক্লাসের পর গবেষণার কাজ। তাদের চোখ লেগেই গেল, অদ্ভুত এক দক্ষতায়।

তারপর থেকে যখন–তখন দেখা, নীরব প্রশ্ন, চেক করে আর রাখে পাতা। একদিন শিক্ষকের অভিজ্ঞতা-নিয়ন্ত্রিত সংলাপে আহমেদ টেবিলে বলল,
“তুমি…”
আর বাকিটুকু বলে ফেলল না; রাইসা মুখে অদ্ভুত লজ্জার ঢেউ পেল, গালে কোমল হাল্কা লাল। তখন প্রথম কথা বলার সৌরভময় কণ্ঠ—“তুমি আমাকে চিনতে চাও?”
তখন থেকে শুরু, না-শুরু, একটা দীর্ঘ অপেক্ষার দিন রাত।

তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নিশ্ছিদ্র আধ্যাত্মিক জমিতে, যেখানে কোনো ভাস্কর্য ছিল না—শুধু বিরামহীন হৃদস্পন্দন আর আত্মার টুকরোগুলো মিলছে চোখে চোখ রেখে। কথাগুলো ছিল অপূর্ণ, কিন্তু অনুভূতিগুলো ছিল সম্পূর্ণ। রাইসার প্রতিটি ভালোবাসার ইচ্ছা অর্জনের পথ কঠিন ছিল—পরিবারে উচ্চ প্রত্যাশা, নিজ চাকরির শুরু, আর নিজ শহর ছেড়ে প্রতিদিনের আনাগোনা। আহমেদ এর বিপরীতে একজন তৃণমূল কাজের পাশে আছেন: সমাজ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা, সঙ্গে ছোট মেধাবী তত্ত্বাবধানকারী ক্লাস, আর সর্বোপরি একটি ব্যক্তিগত লেখা ডায়েরি, যেখানে রাইসার জন্য লেখা প্রতিবারে হাইডেন প্রেমের কবিতা।

একদিন সন্ধ্যায়, রাইসা শান্ত মন নিয়ে বলল, “আমাদের গল্পটা কি বাস্তব?”
আহমেদ স্বতঃস্থ হয়ে বলল, “তোমার সাথে এ যে অনুভব পুষে যাচ্ছে, তা বাস্তব নয়, তাহলে কী বাস্তব?”

রাইসার চোখে মুদ্রায় ভাঙার মতো একটা তীব্র আলো—স্বপ্নের নয়, তার ক্যারিয়ার, পরিবার, নিজের জীবন—সবকিছুই ঘিরে রাখে বাস্তবতা। সে জানে, ভালোবাসার নামেই সবকিছু পরিবর্তন হবে না, বরং আরও বয়ে ফেলবে চ্যালেঞ্জ। অথচ ভিতরে গোপনে সে তাকিয়ে আছে—যে মেয়েটি আজো লোডশেডিং ছোড়া ফ্ল্যাটে সবুজ আলো পায় না, সে ছেলের চোখে নিজের আলো দেখে কি সত্যিই ভালোবাসা আছে?

একদিন দুপুরে আহ্বান করা হলো অভিভাবকদের উপস্থিতিতে সম্মেলনে—রাইসার বাবা আশাবাদী কিন্তু উদাস, বললেন,
“বউ হবেই হবে যদি…”
তখন রাইসা শান্ত কণ্ঠে বলল,
“…আমি নিজেই একটা পরিচিত মানুষ হিসেবে দাঁড়াতে চাই প্রথম।”
রাইসার শর্ত ছিল স্পষ্ট। আহমেদ সম্মত হলেন, আর রাইসার বাবা প্রস্তুত হলেন মহাজাগতিক আবেগের বিপরীতে—তবে সময়সীমা চাইলেন।

তারা নির্ধারণ করল—একটি চাকরি, কিছু অর্জনী, আর তারপর: বিবাহে স্বপ্নের মেয়াদ। আহমেদ গবেষণা পূর্ণ করে দিল একটি প্রবন্ধ, আর রাইসা প্রেজেন্টেশন শেষ করে দিল প্রকল্পের বিষয়ে। তাদের দুজনেই তৈরি, তাদের দেখা হলো উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিশায়।

কিছুদিন পর, এক রূপালী বিকেলে—নদীর ধারে, দূরের ঝিলমিল আলোয়, সেই লোহা-পার্কের বেঞ্চে তারা বসে সিদ্ধান্ত নিলো:
“যখন আমরা দুজনই নিজস্ব অর্জন নিয়ে একত্রে দাঁড়াবো, তখনই আমাদের পথ শুরু হবে।”
কথাগুলো যেন জ্বলন্ত নির্মাণ যারা করে ভালোবাসাকে সময়ে বাঁধতে চায়।

আজ রাইসা–আহমেদের সূর্যদয় হয়েছে। যখন তারা ফ্ল্যাটে বসে চায়ের কাপ হাতে বন্ধুদের আড্ডায় হাসে, অথবা বাতাসে বলি একে অপরের নাম—তখন তাদের মনে হয়, ভালোবাসা শুধুই শব্দ নয়, বরং একটি পরিচিতি, একটি অর্জন এবং এটিই তাদের সেরা গল্প।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)