ইঞ্জিনিয়ার রায়েল ও সঙ্গীতপ্রেমী অন্বেষার গভীর ভালোবাসার গল্প, পারিবারিক বাধা, দীর্ঘ বিচ্ছেদ, অন্বেষার মা’� অসুস্থতা আর আলো-ছায়ার পরীক্ষা সহ তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক বাধা অতিক্রম করে আবার মিলনের আবেগঘন সফর।
“অন্তরের প্রত্যাবর্তন” – এক Bangla Choti Golpo যেখানে রায়েল ও অন্বেষার পাঁচ বছরের বিচ্ছেদ, পারিবারিক বাধা আর অসুস্থতার অন্ধকারকে তারা পার করে তৈরি করে গভীর ভালোবাসার নতুন অধ্যায়।
গল্পের নাম: “অন্তরের প্রত্যাবর্তন”
রায়েল হেঁটে আসছিল ঝিঁঝিঁ পোকার গান পেছনে বয়ে নিয়ে মুক্তার মত চিকন বাতাস ছুঁয়ে দিচ্ছিল তার চুল। লেকসাইড পার্কের ধন্য বাতাসে যেন জীবনের নীরবতাও সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। হাটু পর্যন্ত সাঁকো ফেটে যাওয়া প্যান্টের পকেটে রাখা স্মার্টফোনে বারবার অ্যালার্ম বাজছিল, তবে সে ফোনটা নিশ্চুপ করেই রেখেছিল। কারণ আজ প্রথমবারের মতো সে আর অন্বেষা—তাও আবার পাঁচ বছরের বিচ্ছেদের পর—আপাতত কথা হবে না, শুধু মুখোমুখি হবে।
পাঁচ বছর আগে তেমনি এক বিকেলে তাদের পথ ভাগ হয়েছিল। রায়েলের চাকরির সাফল্যে মেতে থাকা পরিবার পছন্দ করেছিল অন্য কারো সঙ্গী। অন্বেষা ছিল বাঁচার মত স্বতঃস্ফূর্ত, সঙ্গীতশাস্ত্রে ডিপ্লোমা, গানের মূর্ছনায় তার হৃদয় ঋজু হয়ে উঠত। তবে রায়েলের পরিবারে গানকে মর্যাদা খুব কম, তাই এই সম্পর্ক ‘অসামঞ্জস্য’ হিশেবে বিবেচিত হল। সেই ‘অসামঞ্জস্য’ ভাঙিয়ে রাখতে গিয়ে অন্বেষাকে ফেলে রায়েল চলে গিয়েছিল দুনিয়ার মধ্যে; পরিবারের কথা শুনতে শুনতে মনের সুর নির্বাক হয়ে গিয়েছিল।
আজ আবার ফিরে এসেছে অন্বেষার ডাকেই। অন্বেষা একচেটিয়া ডাকেও আসতে পারে—সে জানে, সম্পর্ক শুধু প্রেম নয়, একে অপরকে বুঝে নিতে পারার নাম। তাই সে এই সাক্ষাতের জন্য যে ভালোবাসা পুঁজি করেছিল, আজ সেই সমস্ত সঞ্চয় এক-একটি স্মৃতির ঝরঝরাতে টলমল করছে।
লেকসাইডের পুরনো ওক গাছের নীচে পৌঁছে রায়েল আবদ্ধ মিলনস্থলে দুলতে দুলতে শেষ হলো। ওদিকে অন্বেষা আগে থেকেই বসে আছে—তার কাছে নীলচে মিষ্টি পাউডারের চোখ, লম্বা পালকচুল, বাঁকানো ঠোঁট হেসে আছে, স্বাগত জানাচ্ছে অথচ গায়ে আছে এক রাজকীয় মরণের অবসাদ। দাম্পত্যের বিষাদময় অভিজ্ঞতা জমেছে তার নীরব করতে চায়।
“রায়ে…” অন্বেষা নীরবভঙ্গিতে ওঁরা একে অপরকে দেখলো, কাছাকাছি এলেও শান্ত চোখে আছে আজীবন তীব্র আক্ষেপ।
রায়েল ভক্তিপূর্ণ গলায় বলল, “অন্বেষা…”
ক্লান্তি, লজ্জা, ভালোবাসা—সব মিশে গিয়ে সেই শব্দ দু’টো শুধু হৃদয়ে এলো। দীর্ঘ পাঁচ বছরের বহু কথা ছিল, তবে কোনো কথাই ফের বলতে পারা হবে না; শুধু চোখের ভাষাতেই বাকিটুকু ঝরবে।
দাঁড়িয়ে থেকেও মনে হল, অভ্যাগত কোনো ভীড় নেই, শুধু নিজেদের একান্ত আত্মাও আছে। এ এক শান্ত মিলন, যেখানে প্রতিটি সেকেন্ডে তাদের অতীতের ক্ষত আবার না না করে জাগে।
“কীভাবে বলব?” অন্বেষা নরম গলায় বলতে চাইল, চোখে ভিজে এল নীরব অশ্রু।
“আমি…” রায়েল শব্দ খুঁজতে গিয়েই থেমে গেল।
অন্বেষা হাত বাড়িয়ে রায়েলের কাঁধে বেয়ে যায়, “আমরা… কী ভুল করেছি?”
রায়েলের বুকটা ওঠামাত্র ফেলে সবই বেরিয়ে এলো—“আমি পরিবারকে মেনে নিতে চেয়েছিলাম, তোমাকে ঠেলে দিয়েছিলাম, আমি… আমি নীরব হয়ে পড়েছিলাম।”
আষाढ़ের সেই বিকেলে যেমন ঝড় শোনায়, তেমনি রায়েলা-অন্বেষার মধ্যকার মিশ্র আবেগ উঠে এল। অন্বেষার কণ্ঠে বেজে উঠল, “আমার তো তুমি ছাড়া গান থেমে গিয়েছিল। তুমি জেনে থেকো, আমি তোমার সেই এক টানেই বেঁচে ছিলাম।”
রায়েলের মনে হলো, সেদিনের সেই সিদ্ধান্ত ছিলো মরার সমান—একটু হলেও নিজের মন ভেঙে সম্পর্কে রক্তক্ষরণ করিয়েছিল। আজ সে বুঝে গেল, বেঁচে থাকার প্রধান কারণই ছিল অন্বেষার ভালোবাসা।
একটু চুপ থেকে রায়েল বলল, “আমি আজ… আজ তোমাকে ফিরিয়ে নিতে এসেছি।”
অন্বেষা আর কিছু বলল না, শুধু চুপ করে মাথা নীচু করল। বাতাস জানত—এই সাক্ষাত একটি নতুন সূচনা, আবার ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা।
ভাগ্যবদলে, রায়েলের চাকরি এখন স্বাধীন; সে নিজের ডিজাইন স্টার্টআপের মডেল নিয়ে কাঁধে হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। অন্বেষাও আজ ব্লগার, প্রতিদিন তার ‘সুরের দাবি’ শিরোনামে গানের বিষয়ে পোস্ট করে; হাজারের বেশি ফলোয়ার, তবে বললে তার জীবনের নির্ভরতা কেবল একজনেই—রায়েল।
সে বিকেলের নীল আভায় ছুটে যাচ্ছে সিন্থেসাইজার ব্যাগ জড়িয়ে; মনে মনে যুদ্ধ জেতা আনন্দ। কারণ জানে, আসছে সন্ধ্যায় একসঙ্গে বাজাতে হবে সেই গিটার-ও-তিক্ত-মিশ্রিত সঙ্গীত, যেখানে আছে তাদের দুই ব্যক্তিত্বের এক অনন্য মেলবন্ধন।
সন্ধ্যায় রায়েল এসে পৌঁছালে সিন্থেসাইজার উঁচুতে পড়ে গেল; অন্বেষা তাকে দেখে হেসে বলল, “আজ প্রথম বন্দনাটা টেলিফোনেই ছিল, এবার হাতে সুর তুলতে হবে।”
রায়েল হাত বাড়িয়ে ধরল, “বাঁশি ঝুলবে না, এবার গলা ভেঙে হৃদয় নিয়ে বাজাব।”
তারা বসলো লেকসাইডের একটি মঞ্চে, বয়ে আসতে শুরু করল গানের সুর, রায়েলের কণ্ঠ আর অন্বেষার বাঁশি মিশল এক অন্যরকম সুরে—যেখানে প্রথম সুর ঢেউ তুলেছিল, সেই ঢেউ আবার ফিরিয়ে এনেছে মৃতপ্রায় ভালোলাগার আলো।
গান যখন শেষ হলো, কথা আগেভাগে বাহির হলো—“আমরা চাই একসঙ্গে থাকব।”
অন্বেষা ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি, “কিন্তু… তোমার মতো আর কেউ হাসি?”
রায়েল স্পর্শকাতর গলায় বলল, “তুমি ছাড়া আমি হাসতে পারি না।”
অন্বেষার চোখ দু’টো আবার ভিজে এলো। সে ব্যস্ত হয়ে উঠল নিজের হাতের বাঁশিতে, “তাহলে… কবে ফিরে যাবে?”
রায়েল গভীর করে নিশ্বাস নিয়ে বলল, “এখানেই থেকে যাবো… সঙ্গে থাকবো।”
অন্বেষা হাত বাড়িয়ে রায়েলের হাত ধরল; তাহলে তাদের গানের সুর আর মিলনের সেতুটি যেন বেঁচে থাকবে চিরকাল।
কিন্তু ভালোবাসা কখনো এত সহজ নয়।
পরিবারের চাপ, আত্মমর্যাদার ভয়, পরিচয়ের বিভেদ—সব নিয়ে আবারই সামনে এল অচেনা অন্ধকার।
রায়েলের বড় বোন হঠাৎ মিটিং ডেকেছিল—“তোমার ব্যবসা ঠিকই চলছে? কিন্তু দেখছি তুমি অন্বেষার সঙ্গে বেশি সময় কাটাচ্ছো। ওটা কি স্থায়ী বন্ধন?” রায়েলের বুক জুড়ে একটা কাঁটা এসে ঠেকল।
“বোন,” সে সুনিপুণভাবে কণ্ঠে সামান্য কঠোরতা আনল, “আমি নিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
বোন চোখ চড়কায়, “আর এই অন্বেষার বাবা মরে গিয়েছেন, তুমিই বুঝবে না প্রেমে বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো কী।"
রায়েল বুঝতে পারল, প্রেমে যদি মানুষের মূল্য না বোঝা হয়, তাহলে সম্পর্ক অটুট থাকে না। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল—সেই রাতেই রেজিস্ট্রি অফিসে অন্বেষার হাতের আঙুলে সোনার আংটি পরিয়ে দেবে।
সেই রাতের আকাশ ছিল অচেনা অন্ধকার, কিছুটা গুমোট। তারা গেল রেজিস্ট্রি অফিস—অন্বেষার চোখে মৃদু দুঃসাহস, রায়েলের গলায় ভিজে আসন মনস্নানকারী অনুরোধ।
“অন্বেষা…” সে কণ্ঠে নরম মায়া মেশাল, “আমি চাই… তুমি আমার আইনগত সঙ্গী হবে।”
অন্বেষা থমকে তাকিয়ে বলল, “আদালতপত্রে লিখে দেয়া নাম কি… ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখবে?”
রায়েল অঙ্গীকার করতে করে বলল, “দুটো নামের মধ্যে থাকবে শুধুই বিশ্বাস আর সমঝোতা, আর প্রতিদিন তোমায় নতুন করে ভালোবাসার দিন করে তুলব।”
অন্বেষা চুপ করে রইল; তারপর আঙুল বাড়িয়ে বলল, “আমি রাজি।”
সেই মূহূর্তে রায়েলের মনে হলো, ভালোবাসাকে মর্যাদা দিতে গেলে কখনো কাঠামোও দরকার। তারা ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছিল, তবে আজ থেকে তৈরি হলো এক নতুন সংসার কাঠামো—আইনি বৈধতা, পরিপাটি নাম, আর অন্তরে আগুন জ্বালানোর অটল প্রজ্ঞা।
কিন্তু জীবনে আছড়ে পড়ে আসে সে-সব অপ্রত্যাশিত ঝড়, যা নিয়ে কোনো আইন নয়, কেবল অনুভূতির অটল পরীক্ষা।
এক বছর যেতে না যেতেই অন্বেষার মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। হাসপাতালে বেদনা আর ভয়ে আঞ্জুমন হয়ে আস্তে আস্তে সংসার বাঁচালেন—অন্বেষা প্রতিদিন নার্স এবং হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ করলেন, রায়েল অফিসের কাজ ফেলে ছুটে এসেই পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন।
অন্বেষার গলার কণ্ঠ ভেঙে যাচ্ছিল: “আমার ছাড়া মা অসহায়।”
রায়েলের বুক জুড়ে নীরব হাহাকার: “আমি তোমাকে হারাতে পারি না।”
পাঁচ মাসের শেষে, চিকিৎসার চাপে আর অর্থের বোঝায় অন্বেষার পায়ের নিচে মাটি নড়ে গেল—তাকে অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হল।
একদিন সন্ধ্যায়, হাসপাতালের ক্যান্টিনের একিছড়া টেবিলে তারা বসে কথা বলছিল। অন্বেষার চোখে অন্ধকার, “আমাকে... আমাকে বড় শহরের ওই হাসপাতালের বিশেষ ইউনিটে ভর্তি করতে হবে, ওখানে চিকিৎসা ব্যয় অনেক। তাই আমাকে রায়েল, আমাদের ব্যবসা থেকে টাকা তুলতে হবে।”
রায়েলের চোখ লাল করে উঠল, “তুমি কথা দাও, ব্যবসা থেকেই নেবি না—আমাই চার্জ নেব।”
অন্বেষা কণ্ঠভাঙা করে বলল, “আমি চাই না তুমি ব্যবসা ফেলো।”
রায়েল বুকের ব্যথা অগ্রাহ্য করে বলল, “আমার ব্যবসা যদি ভেঙে পড়ে, তবু তোমার পাশে থাকতেই হবে।”
সে রাতে তারা কেন্দ্রীয় ভবনের উঁচু ছাদে উঠে দাঁড়ালেন। সামনে শহরের আলো ঝলমল—কেউ না দেখে, কেউ না জানে। রায়েল অন্বেষার হাতে একবুক বেসরকারি চেক ধরিয়ে বলল, “এইটা আমার সার্বিক সমস্ত সঞ্চয়, টাকা নয়; বিশ্বাসের প্রতীক।”
অন্বেষার চোখ ভিজে এলো, “আমি এসব টাকা না, তোমার উপস্থিতিই চাই। কিন্তু… এই চেক তবুও নিন।”
রায়েল কাঁদতে কাঁদতে বলল, “যখন তুমি হাসবে, আমার সব হার মানলে তবুও পৃথিবী হাসবে।”
অন্বেষার মা সুস্থ হতে থাকলেন, আর তারা দু’জন প্রতিদিন একে অপরের পাশে দাঁড়ালেন—অন্বেষা চিকিৎসা করালেন, রায়েল প্রতিদিন হাসপাতালে কাজ করলেন। এক রাতে হাসপাতালের ছাদে অন্বেষা নীরব অশ্রু মুছছিলেন। রায়েল এসে জড়িয়ে ধরে বলল, “আমি যদি বলি, আমি তোমার ছাড়া কখনো বেঁচে থাকতে পারি না?”
অন্বেষার হৃদয়ে আঘাত এসে লাগল, “আমিও তোমাকেই… শুধু বাঁচতে চাই।”
রায়েলের বুক থেকে এক অশ্রুসিক্ত সুর উঠে এলো, “আজ থেকেই আমি তোমায় ফেরার অঙ্গীকার করছি—যে কোনাতেই তোমার পাশে থাকব।”
এবার তারা বুঝতে পারল, ভালোবাসার নির্দেশনা চলে না, চলে শুধু অনুভূতির নির্দেশনা—যে নির্দেশনা শুধু একে অপরের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে শিখায়।
অবশেষে অন্বেষার মা পুরোপুরি সুস্থ হলেন। সেই রাতে তারা একসঙ্গে বারান্দায় আড্ডা দিলেন—শহরের রাত্রির আলো গলল তাদের ঢেউয়ে। অন্বেষা বলল, “তুমি ছাড়া আমার জীবন আগেই যেখানে থমকে গিয়েছিল, আজ সেটাতেই আমি আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি।”
রায়েল নরম স্বরে বলল, “আমিও তাই—তোমার ভালোবাসা ছাড়া জীবনের ছন্দ ভাবিনি।”
সেই রাতে তারা রাত জাগা কৌতুক, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা, একে অপরের পেছনে পড়া ছোট্ট অন্ধকার সব মিলিয়ে কেটে গেল জীবনধারার নিখুঁত এক সংগীতে।
এক বছরের পর আজ, রায়েল এবং অন্বেষা এখন বসবাস করছেন হুগলির তীরে এক ছোট্ট বাসে। নীল জলরাশির পাশে তাদের গাছগাছালি, পাখির ডাক আর তরঙ্গের মৃদু গর্জন। তারা দু’জনে একসঙ্গে গিটার বাজায়, ভেসে ওঠে পুরনো গানের সুর—যেখানে বিরহ, ভালোবাসা, অমলিন প্রত্যাশা সব মিশে যায় গভীর এক সংহতির অদ্ভুত মিলনে।
অন্বেষা দু’আঙুলে ঢিলে ঢিলে বোনা আংটি উঁচু করে দেখিয়ে বলল, “এই আমার সবথেকে প্রিয় গহনা।”
রায়েল হেসে বলল, “আমার হৃদয়।”
বেড়েছে সংসারের সুখ-দুঃখ, বেড়েছে দূরত্ব ও পরীক্ষার ঝড়; তবু তাদের ভালোবাসা অটল, কারণ তারা শিখেছে—ভালোবাসা মানে জীবনের সব বাধা অতিক্রম করা, বিশ্বাসের যাত্রাপথে আবার এসেই বাঁচিয়ে রাখা একে অপরকে।
আজ আর কোনো অপ্রত্যাশিত ঝড় নেই; শুধু আছে এক অন্তরের প্রত্যাবর্তন, যে প্রত্যাবর্তনেই তৈরি হয়েছে তাদের চিরন্তন সেতুবন্ধন।